ছবি সাজানো সফটওয়্যার ডাউনলোড : বন্ধুরা আপনারা যারা ফটো এডিট করার অ্যাপস ডাউনলোড করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এখানে ভালো মানের কিছু apps তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ছবি জোড়া লাগানোর যাবে, ফটো ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ করতে পারবেন, পিকচার পরিষ্কার ও ডিজাইন করতে পারবেন। মোট কথা একটি ইমেজ এডিটিং করার জন্য যেসব জিনিস প্রয়োজন হয় আপনি এইসব এপের মধ্যে পেয়ে যাবেন। আর এই অ্যাপগুলো আপনি প্লে-স্টোর থেকেই Download করে নিতে পারবেন।
আজকাল এন্ড্রয়েড ফোন ইউজারদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে মানুষ সেলফি তোলার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। আর নিজের ছবি সুন্দর করতে কে না চায়? তাই ছবি সাজানো সফটওয়্যার দিয়ে আপনি নিজের মতো করে ফটোগুলো এডিটিং করে ফেসবুকে আপলোড করতে পারবেন। এছাড়া অনেকে ছবি এডিট করার জন্য কোনো সময় নষ্ট করতে চায় না, আর তারদের জন্য সবচেয়ে ভাল উপায় হলো ছবি এডিট করার apps দিয়ে সরাসরি সেলফি তোলা। এর মাধ্যমে আপনার ফটো কোনো এডিট ছাড়াই সুন্দর দেখাবে।
ছবি সাজানো সফটওয়্যার
ফটো সাজানো সফটওয়্যার ডাউনলোড করার জন্য আপনার মোবাইলের মেমোরি কিছুটা খালি রাখতে হবে। আর ইন্টারনেট মেগাবাইট অবশ্যই থাকতে হবে। অনলাইনে অনেক ধরণের ওয়েবসাইট পাওয়া যায় যেগুলোতে ছবি সাজানো সফটওয়ার খুঁজে পাওয়া যায়। তবে আপনি যদি সর্বশেষ ভার্শনের অ্যাপ্লিকেশনগুলো ডাউনলোড করতে চান বা হাই-স্পীডে দ্রুত পেতে চান তাহলে গুগল প্লে-স্টোর আপনার জন্য সবথেকে বেস্ট। আর প্লে-স্টোর থেকে অ্যাপস ডাউনলোড করার সবচথেকে মজার ব্যাপার হলো আপনার ডিভাইসে অটোম্যাটিক ইন্সটল হয়ে যাবে।
Table of Contents
PicsArt Photo Editor – ছবি এডিট করার apps
এন্ড্রয়েড মোবাইলের জন্য যত ধরণের ছবি এডিট করার apps রয়েছে তার মধ্যে সবচাইতে বেশি জনপ্রিয় এই অ্যাপটি। আপনি একটা ফটোর ডিজাইন করা থেকে শুরু করে ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করে নতুন ব্যাকগ্রাউন্ড যুক্ত করতে পারবেন। এছাড়া ইমজের মধ্যে কোনো লেখালেখি করার প্রয়োজন হলে সেটাও বিভিন্ন ভাবে লিখতে পারবেন।
প্লে-স্টোরে অ্যাপটি ১ বিলিয়নেরও বেশি মানুষ ডাউনলোড করেছে। অ্যাপটির দুটি ভার্সন রয়েছে, আপনি চাইলে টাকা খরচ করে প্রিমিয়াম ভার্সনটি সংগ্রহ করতে পারবেন। আপনার ফটোর মধ্যে কোনো রকম এফেক্ট লাগানোর প্রয়োজন হলে খুব সহজেই এই অ্যাপটি দ্বারা করতে পারবেন।
এছাড়া যারা কম্পিউটার সফটওয়্যার ফটোশপের মতো রিটাচ ফিল্টার দ্বারা ছবি আকর্ষনীয় করতে চান তাঁরা এই অ্যাপটি বেঁছে নিতে পারেন। কারণ এটার মাধ্যমে অনেক সুন্দরভাবে ফটো রিটাচ করা যায়। ছবির মধ্যে কোনো টেক্সট লেখার সময় যদি ফন্ট প্রয়োজন হয় তাহলে এটার মধ্য থেকে আরো ২০০+ ফন্ট বেঁছে নিতে পারবেন।
কোনো ফটোর ব্যাকগ্রাউন্ড যদি ব্লার করতে চান তাহলে সিলেকশনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট স্থান ব্লার করে ডিএসএলআর (DSLR) এর মতো করে নিতে পারবেন। শুধু ছবি সাজানো নয় বরং আপনি বিভিন্ন ইমেজের মাধ্যমে ভিডিও তৈরি ও এডিট করতে পারবেন। আর ভিডিওর মধ্যে নিজের মতো মিউজিক যুক্ত করতে পারবেন।
অ্যাপটি ডাউনলোড করার পর আপনি ইন্টারনেট কানেকশনের মাধ্যমে প্রায় ৬০ মিলিয়নের বেশি স্টিকার ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। আপনার কাছে পছন্দ হলে এখনই ফ্রীতে download করে নিতে পারেন।
[ ছবি সাজানো সফটওয়্যার ]
Snapseed – ছবি সাজানো সফটওয়্যার
আপনি নিশ্চয় গুগলের নাম শুনেছেন, গুগল হলো একটি টেকনোলজি কোম্পানি। গুগল সবচাইতে বেশি যেটা দ্বারা পরিচিত লাভ করে তা হলো সার্চ ইঞ্জিন। এর বাইরেও গুগলের আরো বিভিন্ন রকম প্রোডাক্ট রয়েছে যেমন- ইউটিউব, জিমেইল ইত্যাদি। আর এই স্নাপসিড সফটওয়্যারটিও গুগলের পণ্য। আপনি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইন্সটল করে এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবেন। এটা একটি পিকচার এডিট করার সফটওয়্যার যা দ্বারা আপনার ফটোগুলো খুব সহজেই সাজাতে পারবেন। যাদের স্কিন কালো তাঁরা এই অ্যাপের মাধ্যমে এডিট করে পরিষ্কার ও ফর্সা করতে পারবেন। আপনার তোলা ফটো যদি এইচডি না তাহলে স্নাপসিড অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই এইচডি করতে পারবেন।
এছাড়া কোনো RAW ফাইল থাকলে সেটা এই অ্যাপের মাধ্যমে ওপেন করে এডিটিং কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে। তাছাড়া ফটো এডজাস্ট করার জন্য আপনি টিউন মোড পাবেন যেটা আপনার জন্য অনেক উপকারে আসবে।
আপনার ফটো যদি আঁকাবাঁকা থাকে তাহলে সেটা রোটেড করে ঠিক করে নিতে পারবেন। শুধু তাই নয়, কোনো ছবি অন্ধকার দেখা গেলে সেটা হোয়াইট ব্যালেন্সের মাধ্যমে ন্যাচরাল করতে পারবেন। আরো ফ্রেম, বিভিন্ন ব্লার মোড ও ছবি সাদা কালো করার অপশন পাবেন।
[ ছবি সাজানো সফটওয়্যার ]
AirBrush – দুই ছবি একসাথে করার সফটওয়্যার
যেকোনো ধরণের ছবি এডিট করার জন্য এয়ার ব্রাশ একটি দুর্দান্ত উপায়। আপনি খুব সহজেই প্লে-স্টোর থেকে এই Apps ফ্রিতে ও টাকা খরচ করে প্রিমিয়াম ভার্সন download করতে পারবেন। আর এর জন্য আপনার ডিভাইসে ইন্টারনেট ডাটা কানেকশন থাকতে হবে।
আপনি এয়ার ব্রাশ অ্যাপের মাধ্যমে ফটোর মধ্যে স্কিনের পিম্পল দূর ও ত্বক মসৃণ করতে পারবেন। এছাড়া আপনি চোখের কালার চেঞ্জ করাসহ আরো নানা রকম কাজ সম্পাদনা করতে পারবেন। অ্যাপটির রিউভিউ রেটিং অনেক ভালো যার জন্য সবার কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। সফটওয়্যারটির সাইজ প্রায় ৫৫ মেগাবাইটের মতো। আর এর জন্য আপনার ডিভাইসের স্টোরেজ কম প্রয়োজন হবে। ছবি রিটাচ করাসহ, ন্যাচরাল ও পার্ফেক্ট স্কিন নিয়ে আসতে পারবেন। অ্যাপটির মাধ্যমে আপনি চাইলে সেলফি তোলতে পারবেন ও রিয়াল টাইম এডিট করার সুযোগ রয়েছে। আপনি চাইলে কয়েকটি সেলফি একত্র করে ছবি একসাথে লাগানোর সুযোগ পাবেন।
[ ছবি সাজানো সফটওয়্যার ]
BeautyPlus – ছবি সাজানো সফটওয়্যার
আপনি হয়তো প্লে-স্টোরে অনেক ধরণের ছবি সাজানো সফটওয়ার খুঁজে পেয়েছেন। তবে এই অ্যাপটি সম্পর্কে আপনি হয়তো জানে না। এই অ্যাপটির নামে হলো বিউটি প্লাস। আর এই নামের সাথে অ্যাপটির বেশ মিল রয়েছে। আপনি যেকোনো ছবি বিউটি করে তোলতে পারবেন খুব সহজে। আপনি যদি বিউটি প্লাস অ্যাপের মাধ্যমে সেলফি তোলতে পারেন তাহলে বুঝতে পারবেন এটা কতটা ভালো মানের একটি অ্যাপস। কারণ এটার মাধ্যমে ছবি অনেক সুন্দর উঠে। ফলে আপনার কাছের মানুষ সেলফিগুলো থেকে অনেক খুশি হবে। অ্যাপটির মধ্যে নানা রকম লাভ স্টিকারসহ আরো মজার ফিল্টার পেয়ে থাকবেন। ৮০০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ এই Software Download করেছে।
তাহলে বুঝতেই পারছেন এটা কতটা ভালো মানের এডিটিং এপস । বিউটি প্লাস অ্যাপস সম্পূর্ণ ডিজাইন করেছে চায়না ভিত্তিক একটি সফটওয়্যার কোম্পানি।
ফটো স্মুথ করাসহ খুব সুন্দর ভাবে রিটাচ করতে পারবেন। ফলে আপনার চেহারা হয়ে উঠে আকর্ষনীয় ও লাবণ্যময়। আপনার কোনো ছবিতে যদি স্মাইল না থাকে তাহলে এটার মাধ্যমে হাসিযুক্ত করতে পারবেন। গুগল প্লে-স্টোর থেকে এটা ফ্রিতে ডাউনলোড করতে পারবেন ও এর বর্তমান মেগাবাইট হয়েছে ৭১।
[ ছবি সাজানো সফটওয়্যার ]
VSCO – ছবি এডিট করার apps
ভিএসসিও হলো একটি ছবি সাজানো সফটওয়্যার যা এন্ড্রয়েড ডিভাইস ও অ্যাপেল ডিভাইসের জন্য প্রযোজ্য। অ্যাপেল ও প্লে-স্টোরে অ্যাপটি মানুষ বহুবার Download করেছে। এটা ইমেজ এডিট করার জন্য দুর্দান্ত একটি এপস। যার জন্য সবাই এটা ডাউনলোড করেছে। অ্যাপেল ও এন্ড্রয়েড এই দুই সিস্টেমের জন্য অ্যাপটি তৈরি করার ফলে যেকোনো স্মার্ট ফোন ইউজার এটা ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবে। যারা আইফোন ইউজার তাঁরা অ্যাপেল স্টোর থেকে অ্যাপটি সংগ্রহ করতে পারবেন। আপনি পিকচার এডিটিং করাসহ ভিডিও এডিট করার সুযোগ পাবেন। যারা ফটোর বিভিন্ন কালার করতে চান তাঁরা এই অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই করতে পারবেন।
এছাড়া বিভিন্ন রকম ফ্রেমযুক্ত করা যাবে। আপনি যদি ইন্সটাগ্রামে ও ফেসবুকে ফটো আপলোড করতে চান তাহলে ভিএসসিও অ্যাপটি বেঁছে নিতে পারেন। কারণ এটার মধ্যে একটা স্ট্যান্ডার কোয়ালিটি ছবি এডিট করার সুযোগ রয়েছে।
[ ছবি সাজানো সফটওয়্যার ]
Adobe Photoshop Express
ফটোশপ এক্সপ্রেস অ্যাপটি কয়েক মিলিয়ন মানুষ ব্যবহার করেছে। নিজের মতো করে ইমেজ এডিট করতে পারবেন। কারণ এটা একটি ছবি সাজানো সফটওয়্যার । তালিকার এই অ্যাপটি তৈরি করেছে গুগল কোম্পানি। সুতরাং এটা খারাপ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। গুগলের প্রতিটি পণ্যের মতো এটাও একটি দুর্দান্ত প্রোডাক্ট। আপনি ফটোশপ এক্সপ্রেসের মাধ্যমে দুই ছবি একসাথে জোড়া লাগাতে পারবেন। যারা কাছের মানুষের ছবিটি নিজের মতো করে এডিট করতে চান তাঁরা ফটোশপ এক্সপ্রেস ডাউনলোড করতে পারেন। প্লে-স্টোর থেকে এটা ফ্রিতেই পাওয়া যাবে। ছবির মধ্যে টেক্সট যুক্ত করা, স্টিকার ও ফ্রেম ইত্যাদি লাগাতে পারবেন।
মোট কথা এটা অল ইন ওয়ান ফটো এডিটর অ্যাপস । একটি ফটোর মধ্যে কয়েক ধরণের কালার যুক্ত করার জন্য এটা অনেক দারুন একটি সফটওয়্যার। মানুষের কাছে এটা অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আর এর রিভিউ যারা করেছে তাঁরা সবাই পজেটিভ মন্তব্য করেছে। আপনি চাইলে এই ছবি সাজানো সফটওয়্যার ডাউনলোড করে দেখতে পারেন।
[ ছবি সাজানো সফটওয়্যার ]
Photo Editor Pro
আপনি যদি ফটো এডিটিং করার জন্য ছবি সাজানো সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে চান তাহলে “ফটো এডিটর প্রো” অ্যাপটি ইন্সটল করে দেখতে পারেন। ভালোবাসাময় ও আকর্ষনীয় সুন্দর ছবি বানানোর জন্য এই সফটওয়্যার বেশ কার্যকরি। জেন্টারটেইন নামক এক Apps কোম্পানি এটা তৈরি করেছে। কয়েক লক্ষবার এই Apps Download করা হয়েছে। অ্যাপটির মধ্যে কিছু অ্যামাজিং এফেক্ট রয়েছে যা আপনাকে আকৃষ্ট করবে। আপনার পিকচারের মধ্যে নানা রকম ফানি স্টিকারযুক্ত করতে পারবেন। এছাড়া ফটো ক্রপ করা ও দুই ছবি একসাথে করার জন্য কিছু ফিল্টার পাওয়া যাবে। আপনি ফটোর কালার ব্যালেন্স করতে পারবেন ও ব্রাইটনেস অ্যাডজাস্ট করতে পারবেন।
পিকচারের মধ্যে যদি কোনো ড্রয়িং করার প্রয়োজন হয় তবে সেটাও করা যাবে। এটা ডাউনলোড করার জন্য আপনার মাত্র ২৫ মেগাবাইট ডাটা খরচ হবে।
[ ছবি সাজানো সফটওয়্যার ]
Photo Lab Picture Editor
বর্তমানে ইমেজের মধ্যে ফেইস এফেক্টস ও আর্ট ফ্রেম যুক্ত করার জন্য “ফটো ল্যাব পিকচার এডিটির” সফটওয়্যারটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই এপের মধ্যে অসাধারণ এফেক্ট পাওয়া যায়। আপনার ফটোর মধ্যে এফেক্টযুক্ত করলে দুর্দান্ত ফটো তৈরি হয়ে যাবে।
আপনি দুই ছবি একসাথে জোড়া লাগানোর মাধ্যমেও বিভিন্ন এফেক্ট করতে পারবেন। এই অ্যাপের আরো একটি বৈশিষ্ট্য হলো আপনার ছবি কার্টুনের মতো এফেক্ট করা যাবে। আর এই এফেক্টগুলো ব্যবহার করে ফেসবুকে অনেকেই ছবি আপলোড দিয়েছে। আর অনেক লাইক ও কমেন্ট পেয়ছে সবাই। এটার মধ্যে এমন ভাবে রিয়াল এফেক্ট দেওয়া যায় যেটা দেখলে মনে হবে আপনার ছবি বাস্তবে কোনো এফেক্ট ছিলো। ছবি এডিট করার apps এর মধ্যে কোলাজ ফিল্টার পেতে চান তাঁরা এটা ডাউনলোড করতে পারেন। এখানে বিভিন্ন আইটেমের কোলাজ রয়েছে। যেগুলো দ্বারা আপনি কয়েকটি ইমেজ একসাথে জোড়া লাগাতে পারবেন।
[ ছবি সাজানো সফটওয়্যার ]
Pixlr – ছবি সাজানো সফটওয়ার
মোবাইলের মাধ্যমে ছবি এডিট করতে চান? তাহলে এই সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে পারেন। আপনার মনের মতো ছবি সাজানো সফটওয়্যার হতে পারে এটি। যেকোনো ধরণের ফটো খুব সহজেই এডিট করা যাবে। কোনো ফটোতে কালারের কোনো সমস্যা দেখা গেলে আপনি এটার মাধ্যমে অটো কালার এডজাস্ট করতে পারবেন। আপনি গ্রিড স্টাইলে ছবি সাজাতে পারবেন। এছাড়া পোস্টারের মতো ইমেজ তৈরি করা যাবে ও পেন্সিলের মাধ্যমে স্ক্যাচ করতে পারবেন। ফটোর মধ্যে দাত যদি সাদা না থাকে তাহলে এটার মাধ্যমে হোয়াইট করে ফেলতে পারবেন। আপনার ফটো সুন্দর ও মসৃণ করার জন্য টোন ফিল্টার পাওয়া যাবে।
তাছাড়া ইমেজের মধ্যে কোনো টেক্সটযুক্ত করার জন্য নানা রকম ফন্ট উপলব্ধ রয়েছে। আপনি কতগুলো ফ্রী এফেক্টস পাবেন। যেগুলোর মাধ্যমে একটি ছবি সুন্দর ভাবে ডিজাইন করা যাবে।
[ ছবি সাজানো সফটওয়্যার ]
FaceApp – ছবি এডিটিং সফটওয়্যার
আপনি যদি একজন ফেসবুক ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে হয়তো ফেস অ্যাপ সম্পর্কে জেনে গেছেন। সম্প্রতি ফেস অ্যাপ ফেসবুকে অনেক শুনাম অর্জন করেছে। ফেস অ্যাপের মাধ্যমে আপনার ফটো বিভিন্ন পরিবর্তন করা যাবে। এই অ্যাপের মাধ্যমে তরুণতরুণীদের ফেসগুলো বয়ষ্ক মানুষের মতো করে ফেলা যায়। ফলে এটা দেখে অনেকে জানতে পারে বয়ষ্ক হলে তাকে কেমন দেখা যাবে।
যদিও এটা মজা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। তারজন্য কেউ বিশ্বাস করে নিবেন যে আপনার বেশি বয়স হলে এমনটাই দেখা দেখাবে। এছাড়া আপনি যদি ছেলে হয়ে থাকেন তাহলে মেয়েদের মতো ফেস তৈরি করা যাবে। এর পাশাপাশি কিছু মজার ফিচার রয়েছে যেগুলো দিয়ে আপনি photo editing করতে পারবেন। আসলেই এটা অনেক মজাদার একটি অ্যাপস।
আপনি চাইলে প্লে-স্টোর থেকে ফ্রিতে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন। আপনি ২০ মেগাবাইট ডাটা খরচ করে অ্যাপটি সংগ্রহ করতে পারবেন।
[ ছবি সাজানো সফটওয়্যার ]
YouCam Makeup
বিউটিউফুল সেলফি এক্সপার্ট ও দারুন সব এডিটিং ফিচার নিয়ে এই অ্যাপস ডিজাইন করা হয়েছে। আপনার ছবিতে মেকআপ দেওয়ার জন্য এই এপস ডাউনলোড করতে পারেন। আপনি এই অ্যাপের মাধ্যমে যা করতে পারবেন তা হলো- হেয়ার কালার, টিথ সাদা করা, স্কিন মসৃণ করা, লিপস্টিক দেওয়া, চোখের কালার যুক্ত করা ইত্যাদি। আপনি যদি এটার প্রিমিয়াম ভার্সন ক্রয় করতে পারেন তাহলে আরো কিছু ফিচার পাবেন। এটা অনেকটা ম্যাজিকের মতো কাজ করবে। আপনার এডিটিং কার্যক্রম খুব সুন্দর ভাবেই সম্পন্ন করতে পারবেন। আপনার ফটোতে যদি সানগ্লাস যুক্ত করতে চান তাহলে এটার মাধ্যমে যেকোনো ধরণের সানগ্লাস লাগাতে পারবেন।
শুধু তাই নয়, যাদের ত্বকে প্রচুর পরিমাণে পিম্পল রয়েছে তাঁরা সহজেই পিম্পল দূর করতে পারবেন। আপনার কাছে পছন্দ হলে অ্যাপটি এখনই ইন্সটল করে দেখতে পারেন।
[ ছবি সাজানো সফটওয়্যার ]
YouCam Perfect – ছবি সাজানো সফটওয়ার
আপনি যদি সুন্দর ছবি সাজানো সফটওয়্যার খুঁজে থাকেন তাহলে এটা ডাউনলোড করতে পারেন। প্লে-স্টোরের মধ্যে এই অ্যাপস অনেক দিন ধরে টিকে আছে। কারণ এটা দিয়ে আপনি যেকোনো ধরণের ছবি এডিট করতে পারবেন। এন্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের কাছে এটা একটি দারুন ছবি এডিট করার apps হতে চলেছে। এই অ্যাপের মধ্যে এক হাজারেরও বেশি এক্সক্লুসিভ এফেক্টস রয়েছে। আপনি ছবি এডিট করার পর এইচডি সিস্টেমে সেভ করতে পারবেন। এছাড়া এই অ্যাপের ফ্রী ও পেইড ভার্সন রয়েছে। আপনি যদি প্রিমিয়াম ভার্সন ডাউনলোড করেন তাহলে কোনো ওয়াটারমার্ক ছাড়াই পিকচার সেভ করে রাখতে পারবেন। শুধু তাই নয়, এই অ্যাপস সেলফি তোলার জন্যও বিখ্যাত।
আপনি একটি ক্লিকের মাধ্যমে সুন্দর-আকর্ষনীয় ফটো তোলতে পারবেন। তাছাড়া ছবির পিছের ব্যাকগ্রাইন্ড রিমোভ করে ডিএসএলআরের মতো ব্লারও করা যাবে।
[ ছবি সাজানো সফটওয়্যার ]
B612 – দুই ছবি একসাথে করার সফটওয়্যার
ছবি সাজানো সফটওয়্যার ডাউনলোড করার জন্য এই অ্যাপটি বেঁছে নিতে পারেন। এটার মধ্যে প্রায় ১৫০০ এরও বেশি স্টিকার পাবেন। এগুলো দিয়ে আপনি ফটোর মধ্যে যুক্ত করতে পারবেন এবং মজা করা যাবে। কারণ আপনি বিভিন্ন এনিম্যাল স্টিকার পাবেন। আপনার চেহারা যদি শ্যামলা বর্ণের হয়ে থাকে তাহলে এটার মাধ্যমে সহজেই সাদা করে ফেলতে পারবেন। আপনি নানা রকম এফেক্ট যা আপনার ফটোকে এট্রাক্টিভ করবে। আপনার যদি কোনো ভিডিও থাকে তাহলে এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে এডিটি ও ড্রয়িং করতে পারবেন। এই অ্যাপের মাধ্যমে সেলফি তোলার সময় আপনি রিয়াল-টাইম বিউটি এফেক্ট পাবেন। ফলে আলাদা ভাবে আপনার আর কোনো এডিট করার প্রয়োজন হবে না।
মাত্র একটি ক্লিকের মাধ্যমে নিজের স্কিন পার্ফেক্ট করে তোলতে পারবেন। আপনি কিছু মজার ফিল্টার পাবেন যেগুলো দ্বারা ফটো বিভিন্ন কালার করা যাবে। এন্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের কাছে এটা অনেক জনপ্রিয় একটি অ্যাপস। ৪.৩ রিভিউ ওয়ালা এই অ্যাপটি ফ্রিতে ডাউনলোড করা যাবে।
[ ছবি সাজানো সফটওয়্যার ]
উপসংহার
মোবাইলের মাধ্যমে যারা পিকচার এডিট করার সফটওয়্যার দিয়ে ছবি এডিট করতে চাই তাদের জন্য এই তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে। এখানে প্রায় ১৩টি সেরা ছবি সাজানো সফটওয়্যার তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আপনি চাইলে প্রতিটি এপস ডাউনলোড করে ইউজ করতে পারেন। আশা করি আপনাদের কাছে এই লিস্ট অনেক ভালো লেগেছে। যদি এই মজার আর্টিকেলটি অন্য কাউকে দিতে চান তাহলে লিংক কপি করে শেয়ার করতে পারবেন। আরো কোনো সফটওয়্যারের লিস্ট দরকার হলে আমাদের জানাতে পারেন।